প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মিসবাহ সিরাজ  ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ে বাণিজ্যিকীকরণ  বন্ধ করতে হবে 

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মিসবাহ সিরাজ  ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ে বাণিজ্যিকীকরণ  বন্ধ করতে হবে 

সিলেটে হাঁটার উন্মুক্ত পরিবেশ ও ধোপাদিঘীপাড়ে নির্মিত নান্দনিক ওয়াকওয়ে বাণিজ্যিকীকরণের প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় নগরীর ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ের গেইটে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

এসময় আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীপাড়ে নির্মিত ওয়াকওয়ে নগরবাসীর হাঁটার একটা জায়গা হয়েছিল। কিন্তু এটাকে সিটি করপোরেশন ইজারা দিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে। আমি গত কয়েক মাস বিদেশে ছিলাম। গত বুধবার রাতে এখানে হাঁটতে এসে দেখি ওয়াকওয়েতে প্রবেশ ফি দিয়ে টিকেট কেটে প্রবেশ করতে হয়। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই এটিকে লিজ প্রদানের মাধ্যমে ভিতরে চটপটি, ফুচকা, চা এবং জুসের দোকান তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে মানুষজন আর ঠিকভাবে হাঁটা চলা করতে পারে না। দোকানের চেয়ার দিয়ে হাঁটার জায়গা দখল করা হয়েছে।’    

তিনি আরও বলেন, ‘সিলেট শহরে হাঁটার কোনো জায়গা নেই। যেটা ছিল সেটাও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সিলেটের প্রাচীনতম এই দিঘিটিতে ভারত সরকারের অর্থায়নে নান্দনিক রূপ দেয়া হয়েছে। তারপর ধোপাদিঘীপাড় ওয়াকওয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সিটি করপোরেশনের ইজারা দেয়া বিষয়টি স্থানীয়দের মতামত না নিয়েই করা হয়েছে। সিলেট নগরীর একজন বাসিন্দা হিসেবে ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ে সবার জন্য উনুক্ত করার দাবি জানাই। নগরবাসী হাঁটার জন্য একটা সুস্থ পরিবেশ চাই। এজন্য আজ এখানে দাঁড়িয়েছি, আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে স্থানীয় বাসিন্দা ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি সারওয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল বলেন, ‘ধোপাদিঘীতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, ওয়াকওয়ে কেন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হবে। এটি ওয়াকওয়ে হিসেবে ব্যবহার করার দাবি জানাই।’  
এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সিলেটর সভাপতি এডভোকেট কিশোর কর, নাগরিক মৈত্রী সিলেটের সভাপতি এডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর, সুজিত বৈদ্য প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি