প্রথম দিনে সিলেট বোর্ডে অনুপস্থিত ৯৪০ পরীক্ষার্থী

প্রথম দিনে সিলেট বোর্ডে অনুপস্থিত ৯৪০ পরীক্ষার্থী

রয়েল ভিউ ডেস্ক : সারা দেশের ন্যায় গতকাল রোববার থেকে সিলেটেও শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত যথা নিয়মে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ ১৪৯টি কেন্দ্রের ৯৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। 
গতকাল রোববার প্রথমদিন বাংলা প্রথম ১ম পত্র বিষয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল  ৯২ হাজার ৯১২ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৯১ হাজার ৯৭২ জন শিক্ষার্থী। প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিলেন ৯৪০ জন শিক্ষার্থী। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষ নিয়ন্ত্রক প্রফেসর অরুন চন্দ্র পাল সিলেটের ডাককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিলেট ও সুনামগঞ্জের দু’জন শিক্ষার্থী সেইফ হোম থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। বাংলা ১ম পত্র বিষয়ে অনুপস্থিত ৯৪০ জনের মধ্যে সিলেট জেলায় ৩২১, হবিগঞ্জে ২১৩, মৌলভীবাজারে ১৮৮ ও সুনামগঞ্জে ২১৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। পরীক্ষায় কেউ বহিষ্কার হননি বলে জানান তিনি।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এএসএম কাসেম জানান, এইডেড উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সেইফ হোম থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। 
যোগাযোগ করা হলে এইডেড উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফয়সল আহমদ জানান, সেইফ হোম থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থী মূলত মৌলভীবাজারের। পরবর্তীতে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমে ওই নারী শিক্ষার্থীকে তারা পরীক্ষার্থী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইনক্লুসিভ স্কুলের মাধ্যমে তার পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. কবির আহমদ জানিয়েছেন, এবার সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১০ হাজার ৪০২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ছেলে ৪৫ হাজার ৫৯৮ জন এবং মেয়ে ৬৪ হাজার ৮০৪ জন। ১৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে জেলাওয়ারি কেন্দ্রসংখ্যা সিলেটে ৫৯, হবিগঞ্জে ৩১, মৌলভীবাজারে ২৬ এবং সুনামগঞ্জে ৩৩টি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। 
প্রসঙ্গত, এবছর পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা।